Our Story

দুনিয়াতে কাজ করার জন্য এত ভিন্ন ভিন্ন বিষয় থাকলেও আমরা কেন বিড়ালের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিলাম? জানতে ইচ্ছে করছে না, আমরা পাগল কি না?

Mission

আমরা বিড়াল ভালোবাসি, তাই শখ করে বাসায় বিড়াল নিয়ে আসি। আমরা আমাদের বাচ্চার মতো বিড়ালকে ভালোবাসলেও কর্ম ব্যস্ততার কারণে তাদের ঠিক মতো যত্ন নিতে পারি না। নিজ হাতে খাবার বানিয়ে খাওয়াতে পারি না। তাই নিরুপায় হয়ে ইম্পোর্টেড ক্যাট ফুডের উপরই নির্ভরশীল হয়ে পরি। আর ক্যাট ফুডে থাকা কিছু ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব পরে আমাদের নিষ্পাপ বিড়ালগুলো ওপরে। প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে এবং ক্ষতিকর কেমিক্যাল খেয়ে বিড়াল গুলো অসুস্থ হয়ে পরে, ধীরে ধীরে তাদের আয়ুষ্কাল কমে আসে। তাই, আমাদের প্রথম ও প্রধান মিশন হলো, প্রতিদিন আপনার প্রিয় বিড়ালের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিভিন্ন রেসিপির ফ্রেশ খাবার তৈরি ও সরবরাহের মাধ্যমে রেডিমেড ক্যাট ফুডের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানো এবং বিড়ালের সু-সাস্থ্য নিশ্চিত করা।

Vision

ছোটবেলা থেকেই আমরা খুব বিড়ালপ্রেমী মানুষ। দিনের প্রায় সবটুকু সময়ই তাদের সাথে কাটাতাম। শুধু বিড়াল না, অন্যান্য সব পোষা প্রাণীর প্রতি আমাদের যথেষ্ঠ ভালোবাসা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশ বিড়াল, কুকুর বা রাস্তার প্রাণীদের জন্য সেফ না। এমনকি তাদের বাসায় নিয়ে এসে রাখাটাও এখানে অনেক জটিল। এই সব প্রাণীদের দুরবস্থা দেখে বেশ মন খারাপ হতো। তখন থেকেই তাদের জন্য ভালো কিছু করার স্বপ্ন কবুতরের মতো মনের মাঝে ডানা ঝাপটানো শুরু করে। শহরে আসার পর পোষা প্রাণীদের প্রতি মানুষের অবহেলা আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি। সেই সাথে তাদের বাসায় পোষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতাও অনুভব করি। এসব কিছু উপলদ্ধি করার পর সেই সপ্নের কবুতর আকাশে ডানা মেলে। আমাদের প্রধান মিশন বিড়ালের খাবার সমস্যা সমাধান হলেও আমাদের ভিশন সব পোষা প্রাণীদের নিয়েই কাজ করা। তাদের খাবার, বাসস্থান এবং প্রয়োজনীয় এক্সেসরিস নিয়ে কাজ করা, ইম্পোর্ট নির্ভরতা কমানো। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা আছে। তাদের সবাইকে এক করে একটা সুন্দর কমিউনিটি তৈরি করা যেখানে রাস্তার প্রাণিরাও নিরাপদ অনুভব করবে, একটা নিরাপদ আশ্রয় পাবে।

0

Years in business

0

Happy Clients

0

Healthy Cats

Down to Earth

We prioritize transparency and a genuine connection with cat lovers, creating an approachable atmosphere for trust and engagement.

Honest

Our commitment to full transparency about ingredients and sourcing ensures that your beloved cats receive meals made with integrity and utmost care.

Timeliness

With a dedicated team, we deliver fresh, nutritious meals promptly, valuing your time and convenience.

Commitment

Our unwavering dedication to cats’ well-being drives us to create high-quality, homemade cat food that promotes their health and happiness.

Charming

Exuding a delightful aura, our brand ensures that nourishing your cats is an enjoyable and charming experience from start to finish.

Luxurious

Providing a refined and luxurious experience, we use premium ingredients and meticulous preparation for your discerning feline friends.

Cats are amazing creatures who deserve the best.

বিড়ালের সাথে আমার সম্পর্কটা শুরু হয় জন্মের পরপরই। সবে মাত্র বসা শিখেছি, টুকটাক হামা গুড়ি দিতে পারি। ঠিক তখনই আমার বন্ধুত্ব হয় একটা বিড়ালের সাথে। আমি তো ছোট ছিলাম, পরে মায়ের কাছে গল্প শুনেছি। সারা দিন আমার সাথে খেলতো। আমি ঘুমালে ও ঘুমাতো, আমি উঠে বসলে ও উঠে বসতো। একই বালিশে আমরা দুই জনই ঘুমিয়ে থাকতাম। বিড়ালের প্রতি নেশাটা মনে হয় তখন থেকেই জন্মেছে। বিড়াল একটা অদ্ভুত ক্রিয়েচার। বিড়াল বসে থাকুক, ঘুমিয়ে থাকুক অথবা খেলাধুলা করুক, চারপাশে সব সময় একটা পজিটিভ এনার্জি স্প্রেড করতে থাকে।

বিড়াল পোষা খুব শখের কাজ। বিড়াল পোষার জন্য আপনাকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী হতে হবে। পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। বাড়িতে একটা বিড়াল নিয়ে আসার অর্থ হচ্ছে, বাড়িতে নতুন একজন সদস্য যুক্ত হওয়া। আপনার বাড়িতে একটা বাচ্চা জন্ম নিলে যেমন পরিবেশটা সব সময় সরব হয়ে থাকবে ঠিক তেমনি একটি বিড়াল নিয়ে আসলেও পরিবেশটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই বেশির ভাগ মানুষই তার পোষা বিড়ালকে বাচ্চার মতোই ট্রিট করে। বাচ্চা লালল পালন করা কিন্তু সহজ কাজ নয়, ভালো লাগার সাথে সাথে আছে সমপরিমান বিড়ম্বনা।

সারা দিন দৌড়াদৌড়ি করবে, এটা সেটা ফেলে দেব, জিনিস পত্র নষ্ট করবে, প্রথম প্রথম বিছানাতেও পি পটি করবে। তবে সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা হচ্ছে খাবার। আপনার শখের বিড়াল ছানা, যাকে আপনি আপনার সন্তানের মতো ভালোবাসেন। সে কি খাচ্ছে, তার গ্রোথ ঠিক হচ্ছে কিনা, খাবারের কারণে তার শরীরে কোনো সমস্যা তৈরি হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করাই সব থেকে কঠিন কাজ। বিড়াল মাংসাশী প্রাণী, তার পছন্দের খাবার হচ্ছে সেদ্ধ মাছ এবং মাংস। কিন্তু সব মাছ বিড়াল পছন্দ করে না, গরুর মাংস বিড়ালের জন্য ক্ষতিকর। বিড়াল মাংসাশী প্রাণী হলেও ওদের নির্দিষ্ট পরিমাণে সবজি খেতে হয়। না হলে বিভিন্ন রকম পেটের রোগ দেখা দেয়, পটিতে অনেক গন্ধ হয়। কিন্তু আমি চাইলেই তো বিড়াল সবজি খাবে না, সেগুলোকে প্রসেস করে খাওয়াতে হবে।

আপনি আপনার বিড়ালের খাবার নিয়ে কতটা কন্সার্ন তা আমি জানি না, তবে আমরা অনেক কন্সার্ন। আমাদের বাসায় সব সময় আট দশটা বিড়াল থাকেই। কোনো বিড়াল বিপদে পরলে রেস্কিউ করে একটা সেফ হোম না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের রাতে ঘুম হবে না। এত গুলো বিড়ালের জন্য প্রতিদিন খাবার প্রস্তুত করা, বাজার থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা, রান্না করা যথেষ্ট সময় সাধ্য একটা কাজ। তারপরে আপনি যদি হন আমাদের মতো চাকুরীজীবী, তাহলে তো কোনো কথায় নেই। আমরা অনেক সার্ভিস খুঁজেছি, যারা প্রতিদিন আমাদের বাচ্চা গুলোর জন্য ফ্রেশ খাবার প্রস্তুত করে দেবে। কিন্তু বারবারই হতাশ হয়েছি। তখন মনে হয়েছে, আমাদের মতো একই সমস্যায় তো আরও অনেক মানুষ থাকতে পারে যারা তাদের বাচ্চার (বিড়াল) স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। কিন্তু সময়ের অভাবে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে পারছেন না। আমরা কি তাদের জন্য কিছু করতে পারি?

খাবারের টেস্ট, পুষ্টিগুণ এবং ক্যালোরি ঠিক রেখে পার্ফেক্ট হোম মেড ফুড বানানো একটা কঠিন কাজ। এর জন্য যেমন ভালো রেসিপি জানা প্রয়োজন তেমনই প্রয়োজন যথেষ্ঠ সময় ও ধৈর্য্য। এছাড়াও খাবার তৈরিতে যথেষ্ঠ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। নাহলে বিড়াল ফিট থাকার পরিবর্তে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। সব থেকে কঠিন কাজ বাজার থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা। একদিন পাওয়া যায় তো আরেকদিন পাওয়া যায় না। কিন্তু বিড়ালতো আর তা বুঝবে না। সকাল হওয়ার সাথে সাথেই চিল্লা মিল্লি করে বাড়ি মাথায় তুলে রাখবে। খাবার প্রস্তুত করার মতো সময়ও দিবে না, পা কামড়ে ধরবে, কাজ করতে দিবে না। ইচ্ছে থাকলেও সময় মতো খাবার প্রস্তুত করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সহজ সমাধান হিসেবে প্রায় সবাই রেডিমেড ড্রাই ফুডই বেছে নেয়। কিন্তু এই ড্রাই ফুড কি আদৌ কোনো সমাধান নাকি আরও বড় সমস্যার কারণ?

বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের ড্রাই ফুড পাওয়া গেলেও বিড়াল মাত্র দুই একটা ব্র্যান্ডের ফুডই পছন্দ করে। এতে বিড়ালের পছন্দের ব্র্যান্ডগুলোর উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়। যেহেতু সব ব্র্যান্ডই বিদেশী, তাই ইম্পোর্ট বন্ধ হয়ে গেলে বা কোনো কারণে না পাওয়া গেলে বিড়ালের খাবারও বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত ক্যাট ফুড খাওয়ালে বিড়ালের একটা অভ্যাস হয়ে যায়, তখন আর বাসায় বানানো খাবার খেতে চায় না। এতে ওদের স্বাস্থ্য তো খারাপ হয়-ই সাথে বাসার সবাইকেও জ্বালিয়ে মারে! আমরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম কভিডের সময়ে।

ক্যাট ফুড প্যাকেটগুলো ইম্পোর্টেড হওয়ায় এর মেয়াদকালও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তার উপর দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য খাবারে প্রিজার্ভেটিভ যুক্ত করা হয়। আবার বিভিন্ন ফ্লেভার ও জেল যুক্ত করে বিড়ালের জন্য আকর্ষনীয় করে তোলা হয়। এতে অবুঝ বিড়াল মজা করে খেলেও দিনশেষে তার স্বাস্থ্যহানিই ঘটে। এমনকি প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ায় ফুড পয়জনিং হয়ে সখের বিড়ালটির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কভিডের সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার খাওনোর কারণে আমাদের দুইটা বিড়াল মারা যায়।

নিয়মিত ড্রাই ফুড খাওয়ার কারণে বিড়ালের দেহে পানির অভাব দেখা দেয়। আর এতে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাবে বিড়াল খুব দুর্বল হয় পড়ে। দেহে কৃমিসহ বিভিন্ন পেটের রোগ বাসা বাঁধে। যেখানে একটি বিড়ালের আয়ুষ্কাল গড়ে ১০-১২ বছর, সেখানে তা কমে ৩-৪ বছরে নেমে আসে। সত্যি বলতে যাদের বাসায় বিড়াল আছে, যারা বিড়ালকে ক্যাট ফুড খাওয়ায় তারা সবাইই ক্যাট ফুডের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে জানে। এত কিছু জানার পরেও আমরা আমাদের বাচ্চার মতো বিড়ালকে ড্রাই ফুড খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছি হয়ত সময়ের অভাবে, হয়ত রিসোর্সের অভাবে। অনেকেই হোম মেড ক্যাট ফুড বলে অনেক কিছু বিক্রি করে কিন্তু বিড়াল এক বারের বেশি দুই বার সেই গুলো মুখে তোলে না। আর ফ্রেশ ফুডের তো কোনো নিশ্চয়তাই নেই।

আচ্ছা, তবে কেমন হতো যদি প্রিয় বিড়ালের জন্য একটি “কিচেন” থাকতো? যেখানে নির্দিষ্ট রুটিন মেইনটেইন করে দক্ষ হাতে মানসম্মত খাবার বানানো হতো! আর রোজ সকালে ঠিক সময়মতো খাবার টা কেউ পৌঁছে দিত! আমরা পার্সোনালি এই প্রয়োজনটা অনুভব করেছি, একটা বিড়াট বড় গ্যাপ ফিল করেছি। এই প্রয়োজন দুটি থেকেই আপনাদের স্বপ্নের কিচেন, “কিটি কিচেন” এর জন্ম।